রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকালে ইস্কাটন গার্ডেনে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবনসহ মোট সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন বা সরকারের নির্দেশিত কাজগুলো বাস্তবায়ন করেন, তাদের সুযোগ-সুবিধাটা দেখাও একটা কর্তব্য বলে আমি মনে করি।

“শুধু রাজধানীই না আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে প্রতিটি জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা।”

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যই নয়, সব শ্রেণির মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তার সরকার।

তিনি জানান, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে ৩৩ হাজার ৫২৬টি প্লট উন্নয়ন এবং ৮ হাজার ৯২২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮ হাজার ১০৫টি প্লট উন্নয়ন এবং ৮ হাজার ৩৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া সারাদেশে আরও ১৮ হাজার ১৪৮টি প্লট উন্নয়ন ও ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তিতে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করে। এত খারাপ অবস্থায় থাকতে হয়, তবু এত উচ্চ ভাড়া দিতে হয়!

“কাজেই ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করে বস্তিবাসীদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা.. এই ভাড়াটা প্রতিদিন হিসেবেও দিতে পারবে, সপ্তাহিক হিসেবেও দিতে পারবে, মাস হিসেবেও দিতে পারবে।”

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থাপনার পরিকল্পনা  ও নকশা প্রণয়ন করতে প্রকৌশলীদের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Toyota Allion 2014 G Package

মূল্য: ২৩,৫০,০০০ টাকা

USA Visa (for Businessman)

মূল্য: 5,000 Taka

পানাম সিটি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর

মূল্য: ৯০০ টাকা জন প্রতি

“টাকা হলেই যে যেখানে যত্রতত্র ভবন বানাবে বা শিল্প কারখানা বানাবে সেটা করতে দিতে চাই না। ইতিমধ্যে যত্রতত্র অনেক ইমারত গড়ে উঠেছে- এটা ঠিক। তারপরও আমি বলব, রাস্তাঘাট বিল্ডিং যাই হোক- পরিকল্পিভাবে করতে পারলে আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষগুলোর জীবনমানটা উন্নত করতে পারব।”

রাস্তার জন্য জায়গা না ছেড়ে এবং অগ্নিনির্বাপনের যথাযথ ব্যবস্থা না রেখে স্থাপনা নির্মাণের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “যে যেখানে কর্মস্থলে যাবেন আপনার ফায়ার এক্সিটটা কোথায় সেটা জানবেন। ফায়ার এক্সটিংগুইশার কোথায় কীভাবে ব্যবহার করবেন সেটাও জানা দরকার।

“আমরা যাই করে দেই না কেন, সেটা একটু যত্ন সহকারে ব্যবহার করা.. সেদিকে একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবেন।”

জলাধার সংরক্ষণ, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহারে সচেতন ও সতর্ক থাকতে সবাইকে নির্দেশনা দেন তিনি।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো.শহীদ উল্লা খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৮০৩ বার পড়া হয়েছে