সাধারণত ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা কামড় দেয়ার পর সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এবং এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের চার থেকে ১০ দিনের মধ্যে নানা ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়।
তবে শিশুর জ্বর মানেই যে সেটা ডেঙ্গু এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই।
অবশ্য চারিদিকে যেহেতু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, তাই এই সময়ে শিশুর জ্বর এলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ডা. আবু তালহা।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ আগের চাইতে এখন অনেকটাই বদলে গেছে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক কিছু লক্ষণের কথা তুলে ধরেন এই চিকিৎসক।
১. ডেঙ্গু যেহেতু ভাইরাসজনিত রোগ, তাই এই রোগে জ্বরের তাপমাত্রা সাধারণত ১০১, ১০২ ও ১০৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস হতে পারে। তবে ডেঙ্গু হলেই যে তীব্র জ্বর থাকবে, এমনটা নয়। জ্বর ১০০ এর নীচে থাকা অবস্থাতেও অনেক শিশুর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
মূলত ডেঙ্গুর এই জ্বরকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন ডা. আবু তালহা।
প্রথমত ফেব্রাইল ফেজ – শিশুর ডেঙ্গু জ্বর ২ থেকে ৩ দিন বা তার চাইতে বেশি স্থায়ী হলে।
দ্বিতীয়ত অ্যাফেব্রাইল ফেজ – এসময় বাচ্চার আর জ্বর থাকে না। সাধারণত এর সময়কাল থাকে ২-৩ দিন।
তৃতীয়ত কনভালিসেন্ট ফেজ – যখন শিশুর শরীরে র্যাশ দেখা যায়। এর সময়কাল থাকে ৪-৫ দিন।
মিস্টার তালহা অ্যাফেব্রাইল ফেজে অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে বলেছেন। কেননা, এই ক্রিটিকাল ফেজে শিশুর জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর রোগটি সংকটপূর্ণ অবস্থায় চলে যেতে পারে।
এই সময়ে রোগীর শরীরে প্লাজমা লিকেজ হয়ে বিভিন্ন অংশে জমা হয়ে থাকে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Sheraton Maldives Full Moon Resort 3D/2N
Moscow & St.Petersburg 6D/5N
মালাওয়শিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ৭দিন ৬রাত
এ কারণে রোগীর পেট ফুলে যায় বা রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা দেখা দেয় এবং যার কারণে শিশুদের শক সিনড্রোম হতে পারে।
তাই জ্বর সেরে যাওয়ার দুই থেকে তিন দিন শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডা. আবু তালহা।
২. শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক চঞ্চলতা থাকে না – শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং ঝিমাতে থাকে। অযথা কান্নাকাটি করে।
৩. শিশুর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, কিছুই খেতে চায় না। বমি বমি ভাব হয় বা কিছু খেলেই বমি করে দেয়।
৪. ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর প্রস্রাব না হওয়া ডেঙ্গুর মারাত্মক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি।
৫. শরীরে লালচে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
৬. মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, পেটে ব্যথা হতে পারে।
৭. হতে পারে পানি শূন্যতা এবং পাতলা পায়খানাও।
৮. চোখ লাল হয়ে যাওয়া, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হওয়া। এটা মূলত অ্যাফেব্রাইল স্তরে বেশি হয়ে থাকে।
৯. পরিস্থিতি গুরুতর হলে অর্থাৎ ডেঙ্গুর কারণে শিশুর শকে যাওয়ার অবস্থা হলে তার পেট ফুলে যেতে পারে বা শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। যেমন রক্তবমি, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)৮৯৮ বার পড়া হয়েছে





