মানুষের মনকে সতেজ করে তুলতে ভ্রমণের চেয়ে ভালো ঔষধ আর হতে পারে না। এটি আপনাকে যেমন কাজ থেকে ছুটি দেয় তেমনি আপনাকে আপনার নিজের মাঝে আবার নিয়েও আসে। দীর্ঘ সময়ের কাজের চাপ, স্ট্রেস আর নানা ঝামেলা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে এই ভ্রমণ। তবে এই ভ্রমণে যেতে যেতে আপনি হয়ে পরেন ক্লান্ত। কিন্তু কিছু ছোট ছোট টিপস আপনাকে হাজার ক্লান্তিতেও সতেজ রাখতে পারে আর সাথে সাথে আপনাকে সতেজতার সাথে সবার মাঝে উপস্থাপনও করতে পারে।

ভ্রমণে বের হবার আগে চাই ত্বকের যত্ন। তাই যেদিন ভ্রমণে বের হবেন তার ঠিক আগের দিন বেশি বেশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।  এতে আগের দিন থেকেই ত্বকের হাইড্রেশন ঠিক অবস্থায় থাকবে। আপনার ত্বক বিশেষ করে হাত, পা কিংবা মুখের ত্বকে এটি আবরণ তৈরি করে রাখে, যাতে বাইরের তাপ বা এয়ার কন্ডিশনের আবহাওয়া আপনার ত্বককে রুক্ষ করতে পারে না।

আপনি যখন দূরে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন তখন মুখে ফাউন্ডেশন বা ব্লাশন ব্যবহার না করাই ভালো। এর পরিবর্তে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকে থাকা ময়লা ধুয়ে যাবে আর ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে।

বাইরে থাকা অবস্থায় হাতের স্পর্শ থেকে মুখ দূরে রাখবেন। হাতে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা লেগে থাকে যা আপনার হাতের মাধ্যমে মুখ পর্যন্ত খুব সহজে পৌঁছায়। আর ভ্রমণের সময় বারবার মুখ যেকোনো কাপড় দিয়ে মুছবেন না। নরম কাপড়, টিস্যু কিংবা রুমাল ব্যবহার করুন।

মেকআপ ব্যবহারের আগে হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। চোখ সাজানোর ক্ষেত্রে চোখে মাস্কারা আর ঠোঁটের ক্ষেত্রে  দীর্ঘক্ষণ থাকে এমন লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। দূরের পথে ভ্রমণের সময় অনেকেই হালকা ঘুম দিয়ে থাকেন। এতে মাস্কারা বা লিপস্টিক নষ্ট হয়ে যায়। তাই দূরের পথে এসব থেকে দূরেই থাকুন। লিপস্টিক ঠোঁটকে শুষ্ক করে দেয়। এর চেয়ে বরং লিপ গ্লোস ব্যবহার করতে পারেন। গ্লোস মুছে গেলেও তা আবারো খুব সহজে ব্যবহার করা যায়।

দূরের যাত্রা পথে সাথে অবশ্যই আয়না রাখুন। ছোট ছোট কাজ যেমন চোখের কাজল ঠিক করা কিংবা ঠোঁটের লিপিস্টিকের ঠিক করতে এটি কাজে লাগে। এর সাথে ব্যাগে অবশ্যই পানি রাখুন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৯১৪ বার পড়া হয়েছে