ব্যাংগালোরে এই সময়ের তাপমাত্রা ত্রিশের আশপাশে। তবে ভীষণ কড়া রোদ, সাথে দিন নেই রাত নেই- ভীষণ বাতাসও। আবার মেঘ, সারাদিন টুকরো টুকরো মেঘ মন খারাপ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কখনও কখনও গুটি গুটি পায়ে নেমে পড়ছে দুয়েক মিনিটের জন্য। এই আছে এই নেই, এমনই সে বৃষ্টি- শরীরটাও ভেজে না, মন তো দূরের কথা!

আজকেই তাপমাত্রা চলছে ২৭। অ্যাকুওয়েদার বলছে রিয়েল ফিল ৩১, হিউমিডিটি ৬২ ভাগ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার। বাতাসটা আসছে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে, সে হিসাবে দখিনা বাতাসও বলা যায়। আকাশ ‘মোস্টলি ক্লাউডি’। তবে এই ‘মোস্টলি ক্লাউডি’ আকাশও রোদ ঠেকাতে অপারগ।

এইসব মেঘ-রোদ্দুরের মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ মনটা কেমন কেমন লাগে। ২ হাজার/ ২২শ কিলোমিটারের আলাদা একটা ভার তো আছে! ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার বেগের বিরতিহীন পদব্রজেও তো সে প্রায় ডাবল সেঞ্চুরির সমান ভার। তাই বুঝি হঠাৎ মেঘ দেখলে মনে পড়ে যায় ‘মেঘ বলেছে যাব যাব…’ (রবি ঠাকুরেরটা নয়, কলেজ জীবনের বন্ধু অচিন্ত্যের তৈরি, শত অনুরোধেও যার কোনো রেকর্ড হয়নি; যতটুকু আছে, শুধু স্মৃতিতেই)।

এই স্মৃতি ডেকে নিয়ে আসে শক্তি, বিষ্ণু, পূর্ণেন্দুর কবিতা। পাঠের দীর্ঘবিরতি, তবু গুগলে অক্ষর লিখি। গোটা গোটা হরফে ধরা দেয় ‘সরোদ বাজাতে জানলে’। ওর অক্ষরে অক্ষরে লেগে আছে মেঘ, ছুঁয়ে দিলে হাত ভিজে যায়। ওর শব্দে শব্দে বিষাদ, তাকালে চোখ ভিজে যায়। ওর গায়ে লেপ্টে হাহাকার অবিরাম ডেকে যায় চাতকের মতো, যেন বলে- মেঘ, তুই কবে নামবি জল হয়ে?

জল হাসে, জলতার চুড়িপরা হাতে,
নর্তকীর মত নেচে ঘুরে ঘুরে
ঘাগড়ার ছোবলে
সবকিছু কেড়ে নেয়, কেড়ে নিয়ে
ফের ভরে দেয়
বাসি-হয়ে-যাওয়া বুকে পদ্মগন্ধ,
প্রকাণ্ড উদ্যান।
এই অপরূপ ধ্বংস, মরচে-পড়া
ঘরের-দ্বোরে চাঁপা রঙে এই চুনকাম
দরবারি কানাড়া এরই নাম?
সরোদ বাজাতে জানলে বড় ভালো হতো।
পুরুষ কীভাবে বাঁচে সে-ই শুধু জানে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

বেইজিং ও কুনমিং ৭ দিন ৬ রাত

মূল্য: ৮৪,৯০০ টাকা

Singapore Tour with Sentosa 4D/3N

মূল্য: ২৪,৯০০ টাকা

চামুন্ডি হিলসের ভিউ পয়েন্ট থেকে গোটা মহীশুর শহরটাই দেখা যায়। দেখতে দেখতে মনে হলো, আসলে কী দেখছি? গোটা শহর যেন আর্কিটেক্টের তৈরি মিনিয়েচার মডেল।

কাগজের ওই যে এক খুপড়ির মতো, ওটাই কি ৪ তলা সেই দালান যেটা একটু আগেই ছিল একটা হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট? একটু পাশে ওই যে চারকোনা ইঞ্চি আটেক পরিধির আয়তকার বাড়ির মতো, ওপরে গোল গোল টুপি; ওটাই কি মহীশুর প্যালেস, যার ভেতরে একবার ঢুকলে আর নিমেষেই বের হওয়া যায় না? দুই হাজারের রেশিওতে ওখানে মানুষ কই! এইসব সীমাহীন ক্ষুদ্রতার গল্প ঘুরে ফিরে আসে মনে। ভেতরে ভেতরে মানুষ কি এর চেয়ে কম ক্ষুদ্রতা ধারণ করে?
– তরিকুর রহমান সজীব

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



৪১৭ বার পড়া হয়েছে