শরৎ বলতেই আমরা যেন কাশফুল বুঝি। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। মাঠজুড়ে কাশফুলের কোমড় দোলানো নৃত্য। এই তো শরতের বৈশিষ্ট্য। শরৎ এলেই আমরা হারিয়ে যেতে চাই কাশবনে। আর সে জন্য ছুটে যেতে পারি ঢাকার কাছেই। আসুন জেনে নেই এমন ১৪টি কাশবন সম্পর্কে-
আফতাব নগর: রাজধানীর আফতাব নগরের ফাঁকা জমিতে শরতের সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে কাশফুল। তাই পরিবার নিয়ে যেকোন সময় ঘুরে আসতে পারেন। তবে বিকেলে যাওয়াই ভালো। ঢাকার যে কোন এলাকা থেকে প্রথমে রামপুরা ব্রিজে আসতে হবে। ব্রিজের পাশে আফতাব নগরের গেট। গেটের কাছে রিকশা পাবেন। রিকশায় ওঠার আগে ভাড়া ঠিক করে নেওয়া ভালো।
দক্ষিণখান: বড় পরিসরে কাশবন দেখতে চাইলে খিলক্ষেত বাজার হয়ে উত্তরমুখী রাস্তায় যেতে পারেন। রাস্তার দুপাশ জুড়েই কাশের রাজ্য। এতে আপনার চোখ ও মন জুড়াবেই।
আশুলিয়া: মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে আশুলিয়ার দিকে কাশবনের দেখা পাবেন। সড়কপথে ভ্রমণও মন্দ লাগবে না। এলোমেলো বাতাসে হেঁটে বেড়াতে পারবেন।
৩০০ ফিট: রাজধানীর বসুন্ধরার ৩০০ ফিট রাস্তার চারপাশে রয়েছে কাশফুল। ৩০০ ফিটে যেতে চাইলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সিএনজি নিতে হবে।
দিয়াবাড়ি: উত্তরার দিয়াবাড়ি কাশবনের বাস হিসেবে সবার চেনা। কাছাকাছি হওয়ায় মানুষ সেখানে ভীড় জমায়। কাশফুলের মাঝে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে। দূরে কোথাও যাওয়ার চেয়ে দিয়াবাড়ি যেতে পারেন কাশবন দেখতে। দেখার জায়গা হিসেবে দিয়াবাড়ি খারাপ নয়। তবে ফিরতে হবে সন্ধ্যা নামার আগে।
কেরাণীগঞ্জ: ঢাকার কাছে বলেই সময় করে ঘুরে আসতে পারেন। কাশবনের মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ পেয়ে যাবেন। একদিনের জন্য পিকনিক হয়ে যাবে।
হযরতপুর: কেরাণীগঞ্জের হযরতপুর। এখানে কালিগঙ্গা নদীর বাঁকে বাঁকে কাশবন। বছিলা সেতু পার হয়ে আটিবাজার ছেড়ে কিছু দূর গেলে হযরতপুর। সেখান থেকে খেয়া নৌকা পার হলে কাশবন।
পদ্মার চর: মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে যেতে পারেন কোন এক চরে। চরে গিয়ে কাশফুলের দেখা পাবেন। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
মিশর ভিসা (চাকুরীজীবী)
Canada Visa for Businessman
Sheraton Maldives Full Moon Resort 3D/2N
ঢাকা উদ্যান: মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ লাগোয়া পশ্চিম পাশে ঢাকা উদ্যান হাউজিংয়ের বিভিন্ন প্লটে দেখতে পাবেন কাশফুল। তবে যেতে হবে একটু ভেতরে বুড়িগঙ্গার তীরে।
ওয়াশপুর: মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ থেকে বছিলা সড়ক ধরে ওয়াশপুর। সেখানে বছিলা সেতুর পাশ দিয়ে হাতের বাঁয়ে চলে যাওয়া সড়কে গেলে দেখবেন কাশফুলের রাজ্য।
মায়ার দ্বীপ: মেঘনার বুকে জেগে ওঠা মায়ার দ্বীপ। এ দ্বীপে দেখতে পাবেন কাশফুল। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে বৌদ্দের বাজার। সেখান থেকে মেঘনার ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকায় যেতে হবে মায়ার দ্বীপ।
যমুনার চর: মানিকগঞ্জের আরিচার যমুনার বুকে জেগে ওঠা চরগুলো কাশফুলে ভরপুর। গাবতলী থেকে পরিবহনে যাওয়া যায় আরিচা। পদ্মা কিংবা যমুনার চরে ভ্রমণের জন্য ইঞ্জিন নৌকা পাবেন সারাদিনের জন্য। ভাড়ার ব্যাপারে আগেই কথা বলে নেবেন।
ঝিলমিল: বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু পেড়িয়ে মাওয়া সড়কে যাওয়ার পথে দুই পাশে পড়বে কাশবন। এটি রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক এলাকা। এখানকার বালু ভরাট করা খালি প্লটগুলো ছেয়ে আছে কাশফুলে। শরতের সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে পারবেন এখানে।
ধলেশ্বরীর তীরে: ঢাকা থেকে মাওয়া সড়কে যেতে কুচিয়ামোরা এলাকায় ধলেশ্বরী নদী। সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে একটু ভেতরে। সেখানে নদীর দুই পাশে পাবেন কাশবন।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১,৪০৩ বার পড়া হয়েছে




