সময়-সুযোগের অভাবে দূরে কোথাও যাওয়া হয় না। নাগরিক ব্যস্ততায় হিমশিম খেতে হয় প্রতিনিয়ত। অথচ ঢাকার একেবারে কাছেই গড়ে উঠেছে চমৎকার রিসোর্ট। নিরিবিলি প্রকৃতির ছায়াঘেরা পদ্মাপাড়ে রয়েছে একটি রিসোর্ট। তার নাম মাওয়া রিসোর্ট। সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটিতে এখানে কাটাতে পারবেন ইলিশময় কিছুটা সময়।
অবস্থান: ঢাকা থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামে মাওয়া রিসোর্টটি অবস্থিত। রিসোর্টটির সামনেই ঢেউতোলা পদ্মা নদী।
বৈশিষ্ট্য: রিসোর্টটি একেবারে শান্ত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানে এলে নদীতে সাঁতার কাটতে পারবেন। নৌকায় চড়ে ঘুরতেও পারবেন। সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থাই আছে এখানে। রিসোর্টের বিভিন্ন গাছে রয়েছে ফল। ইচ্ছে হলে পেড়ে খেতে পারবেন।
যা দেখবেন: রিসোর্টের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকলেই বিশাল এক দীঘি। দীঘির চারদিকে নারিকেল আর সুপারি গাছ। রয়েছে দুটি বাঁধানো ঘাট। ঘাটে চুপচাপ বসে থাকতে পারবেন। চাইলে বোটে করে দীঘির শান্ত জলে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। পাড়েই ক্যাফেটেরিয়া। পছন্দমতো খাবার পাওয়া যায় এখানে। এখানে পাবেন তাজা ইলিশের স্বাদ। রাতে রিসোর্টের কটেজের জানালায় জোনাকির খেলা আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ শুনতে পাবেন।
কটেজ: এখানে ১১টি কটেজ রয়েছে। প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যে কোন একটি বেছে নিতে পারবেন। কটেজে যেতে সাদা আর সবুজ রঙের কাঠের পুল রয়েছে। কটেজগুলোর দেয়াল ইটের আর ছাদগুলো গোলপাতা দিয়ে বানানো। বাঁশের চটি দিয়ে নানা আলপনায় তৈরি করা হয়েছে সিলিং। তবে ভেতরে আধুনিক আসবাবপত্র, বাথরুম আর টাইলসের মেঝে দেখবেন। তখন মনে হবে কোন ফাইভ স্টার হোটেল।
যে কোন অনুষ্ঠান: রিসোর্টে পিকনিক, সভা-সেমিনার ও সিনেমার শুটিং করতে পারবেন। এখানে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
US Visa (Spouse)
মৈনট ঘাট প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
নির্ভেজাল ও নিস্কন্টক প্লটে বিনিয়োগের নিশ্চয়তা
রাত যাপন: কটেজে রাতে ও দিনে থাকতে চাইলে আগেই বুকিং দিয়ে কনফার্ম করতে হবে। আর এমনিতে সারাদিন ঘুরতে চাইলে রিসোর্টের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা।
খরচ: সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রুম নিতে পারবেন। সে জন্য নন এসি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার, এসি ৪ হাজার আর সুইট কটেজ ১২ হাজার টাকা ভাড়া পড়বে। আর রাত যাপনের ক্ষেত্রে ৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়বে।
যেভাবে যাবেন: ঢাকার গুলিস্তান, মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ থেকে মাওয়াগামী যে কোন বাসে যেতে পারবেন। নামতে হবে লৌহজং থানা মসজিদের সামনে। এরপর রিকশা বা অটোতে ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। এছাড়া নিজস্ব গাড়ি হলে মাওয়া গোল চত্বরের ডানদিকের রাস্তায় দুই কিলোমিটার দূরে লৌহজং পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পুরোনো ফেরী ঘাটের পাশে গেলেই পেয়ে যাবেন রিসোর্টটি।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৮৬৮ বার পড়া হয়েছে




