বাড়ির কোন জায়গাটা একটু অপরিচ্ছন্ন হলে আমরা বিব্রত বোধ করি বলুন তো? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। বলা হচ্ছে বাথরুমের কথা। ঘরের বাদবাকি ঘরগুলো যতই সাজিয়ে রাখা হোক না কেন, স্নানঘরের জন্য চাই একটু বেশি পরিচ্ছন্নতা। কেননা, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্য।
.চাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সবার আগে। আর বাথরুমের ক্ষেত্রে তো এই বিষয়টি আরও জরুরি। কথা হয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ও এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমা নাসরিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুইবার বাথরুম ধোয়া উচিত।’
এ বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে নাসিমা নাসরিন বলেন, ‘বাড়ির নকশা করার সময় খেয়াল রাখুন আপনার বাথরুমের অবস্থান নিয়ে। ঘরের অন্য রুমগুলো যত বড় আকৃতিরই হোক না কেন, বাথরুমের জন্যও রাখতে হবে পর্যাপ্ত জায়গা। যাতে সহজেই আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে।’
বাথরুমের মেঝে পরিষ্কারের সময় টাইলস ক্লিনার বা টয়লেট ক্লিনার ৩০ মিনিটের জন্য ছিটিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। অনেক সময় দেখা যায়, টাইলস কিংবা মোজাইকে কালচে দাগ বসে যায়। এটি দূর করার জন্য স্পঞ্জে বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে মেঝে পরিষ্কার করে নিন।
মেঝের পাশাপাশি ঝরনা বা শাওয়ার পরিষ্কার রাখুন। এগুলো ইস্পাতের হওয়ায় এতে সহজেই ব্যাকটেরিয়া জমে। চাইলে পলিথিনের ব্যাগে একটু ভিনেগার নিয়ে শাওয়ারের মুখ ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
একই সঙ্গে কমোড, বেসিন, বাথটাব ইত্যাদি ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
*বাথরুমের মেঝে সব সময় শুকনো রাখতে হবে। এতে জীবাণু কমবে, সেই সঙ্গে আপনার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগবে। তবে সব সময় তো আর মেঝে শুকনো রাখা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে শুকনা কাপড় দিয়ে মেঝে মুছে রাখতে পারেন। চাইলে কাপড়টিতে একটু জীবাণুনাশক তরল লাগিয়ে নিতে পারেন।
*স্নানঘরের একটা কোণে ছোট্ট মানিপ্ল্যান্ট অথবা ক্যাকটাস রাখতে পারেন। এ ধরনের গাছ স্নানঘরের জীবাণু প্রতিরোধ করে।
*বাথরুমের টাইলস এবং দেয়ালের রঙে একটু ভিন্নতা আনতে পারেন। হাতিরপুলের গ্রেট ওয়াল স্যানিটারি মার্কেটের বিক্রেতা সৈয়দ খোকন বলেন, ‘টাইলসের ক্ষেত্রে দেয়াল এবং মেঝের রং বিপরীতধর্মী হলেই ভালো দেখায়। আপনি কী ধরনের টাইলস নির্বাচন করবেন, এটা সম্পূর্ণই নির্ভর করবে আপনার বাথরুমের আকৃতির ওপর।’
*প্রসাধন রাখার জন্য ছোট একটি বাক্স বা তাক লাগিয়ে নিতে পারেন বাথরুমে। এর ফলে সেগুলো যেমন গোছানো থাকবে, তেমনি পরিপাটিও থাকবে আপনার বাথরুমটি।
*বাথরুমের ছোট জানালায় পর্দা লাগিয়ে নিতে পারেন। পর্দার পরিবর্তে আপনি চাইলে ঘোলা কাচ (ফ্রস্টেড গ্লাস) ব্যবহার করতে পারেন। স্নানঘরে বাঁশের তৈরি চিকও ব্যবহার করা যায়।
*বাথরুমের এক পাশে ময়লার ঝুড়ি রাখুন।
*বাথরুমের দরজা কাঠের হলে এর ওপর তেল রং করে নিন, যাতে পানি লেগে কোনো ক্ষতি না হয়।
ফিচার বিজ্ঞাপন
USA Visa (for Businessman)
Australia Visa for Businessman
SIliguri – Gangtok – Lachung (Sikkim) 7D/6N
*সব সময় বাথরুমে এয়ার ফ্রেশনার রাখুন। এতে বাথরুমটি অনেক সজীব থাকবে।
*দীর্ঘদিন ব্যবহারে বেসিনে কালচে অথবা বাদামি ছোপ বসে যায়। সমাধান কিন্তু সহজ। একটি পাত্রে অর্ধেক ভিনেগার ও তরল সাবান মিশিয়ে নিন। এরপর ভিনেগার ও তরল সাবান ব্রাশে নিয়ে বেসিন বা কমোড পরিষ্কার করুন।
*বাথরুমের কল, ঝরনা, সাবানের কেস ইস্পাতের হয়ে থাকে। এগুলোতে মরিচা পড়ে। মরিচা পড়লে সামান্য লেবুর রস বা ভিনেগার ঘষে নিতে পারেন।
*বাথরুমের দেয়াল ও সিলিং পরিষ্কার রাখতে দুই সপ্তাহ অন্তর ঝুল ঝেড়ে নিতে পারেন।
*বাথরুমের আয়নাটাও যেন দীর্ঘদিন ব্যবহারে ঝাপসা হয়ে যায়। এ জন্য ঠান্ডা পানিতে ব্ল্যাক টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে সেই পানি কাগজ দিয়ে আয়নায় ঘষে নিন।
*বাথরুমের সিলিং লিক হলে দ্রুত মিস্ত্রি ডেকে এনে ঠিক করিয়ে নিন। কখনো মেরামত করার পরেও কিছু লিক রয়ে যায়। তাই ভালো হয় যদি স্থানটিতে আবার সিমেন্ট লাগিয়ে রং করে নেওয়া যায়।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)৯৯৭ বার পড়া হয়েছে





