কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। অনেকের টয়লেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, কিন্তু পেট পরিষ্কার হয় না। এ নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন তাঁরা। মলত্যাগ যদি সপ্তাহে তিনবারের কম অথবা পরিমাণে খুব কম হয়, অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও মলত্যাগ না হয়, অথবা মল অস্বাভাবিক রকমের শক্ত বা শুকনো হয়, তাহলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খান। গোটা শস্য, শাকসবজি, ফলমূল যেমন বেল, পেঁপে ইত্যাদি হলো আঁশযুক্ত খাবার।
২. পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করুন।
৩. যত দূর সম্ভব মল চেপে না রাখার অভ্যাস করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটাচলার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৪. ইসবগুলের ভুসি, অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মতো ঘরোয়া টোটকাও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে বেশ কাজে আসে।
প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খান। গোটা শস্য, শাকসবজি, ফলমূল যেমন বেল, পেঁপে ইত্যাদি হলো আঁশযুক্ত খাবার।
৫. কিছু কিছু ওষুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী (যেমন নিয়মিত আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, আয়রন বা ক্যালসিয়াম বড়ি)। এসব বিষয় খেয়াল করতে হবে। কফি, পিৎজা, ফাস্ট ফুড বা পাস্তার মতো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চকলেট, ভাজাপোড়া, লাল মাংস (গরু, খাসি ইত্যাদি), চিপস, প্রচুর চিনিযুক্ত বেকারি খাদ্য যেমন কেক, পেস্ট্রি কেক এবং আয়রন ক্যাপসুল, কাঁচাকলা ইত্যাদি কম খাওয়াই ভালো।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া ও কুসাডাসি ৭দিন ৬রাত
ট্যাক্স, ভ্যাট, BIDA, IRC & COMPANY REGISTRATION CONSULTANTS
Maldives (Fun Islands) 3D/2N
৬
এতেও উপকার না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করা যায়। তবে এগুলো বেশি পরিমাণে বা নিয়মিত সেবন করা অনুচিত। কারণ, এতে মলদ্বারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।
জটিলতা
দীর্ঘ মেয়াদে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ বা পাইলস, ফিস্টুলা বা ভগন্দর, অ্যানাল ফিশার বা গেজ রোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, রেক্টাল প্রোলাপস বা মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসা, ইন্টেসটাইনাল অবস্ট্রাকশন, পেটব্যথা বা ফাঁপা, অরুচি, ক্ষুধামান্দ্যের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সমস্যার উন্নতি না হলে আক্রান্ত ব্যক্তির থাইরয়েডের সমস্যা, কলোরেক্টাল তথা মলাশয়ের ক্যানসার, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, পার্কিনসনস ডিজিজ, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস), অ্যানাল ফিশার, পেরিঅ্যানাল অ্যাবসেস প্রভৃতি কোনো রোগ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা দরকার। আফিম, মরফিন, মানসিক রোগের ওষুধ, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড ইত্যাদি কোনো ওষুধ সেবন করছেন কি না, লক্ষ করুন। হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডুমুরিয়া, খুলনা
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)২৮২ বার পড়া হয়েছে