মাসিকের সময় অসহ্য ব্যথার অন্যতম কারণ এন্ডোমেট্রিওসিস। পৃথিবীজুড়ে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে একজন এ সমস্যায় ভোগেন। বিশ্বজুড়ে মার্চ মাসকে এন্ডোমেট্রিওসিস সচেতনতা মাস বলা হয়। উদ্দেশ্য, এই রোগ সম্পর্কে মেয়েদের জানানো এবং সচেতনতা তৈরি। কেননা বিশেষ দিনগুলোতে অসহ্য ব্যথা আর খারাপ লাগার এ সমস্যাটিকে অনেক নারীই লুকিয়ে রাখেন। কখনোই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি রোগী রয়েছে এন্ডোমেট্রিওসিসের। বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ রোগীর এ সমস্যা রয়েছে।
মাসিক শুরুর পর থেকে যেকোনো বয়সে একজন নারী এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। স্কুলগামী কিশোরী, বিবাহিতা কিংবা মেনোপোজের কাছাকাছি বয়সীদের যেকোনো সময়ই এটি হতে পারে।
লক্ষণ: মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা, মাসিকের সময় অত্যধিক রক্তক্ষরণ, সহবাসে ব্যথা, প্রস্রাব বা মলত্যাগে ব্যথা, পিরিয়ড চলাকালে স্কুল-কলেজ বা অফিসে অনুপস্থিতি, বন্ধ্যত্ব।
জেনে রাখুন: রোগীরা বিষয়টি চেপে রাখার কারণে শনাক্ত হতেই প্রায় ৭-৮ বছর দেরি হয়ে যায়। মাসিকের সময় ও রকম একটু–আধটু ব্যথা হয়ই, এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বেশির ভাগ নারীর তা–ই ধারণা। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের আগেই সন্তান নেওয়া ভালো। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এ সমস্যায় আক্রান্ত নারীদের বেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা পিল সবচেয়ে ভালো। অনেক সময় চিকিৎসা হিসেবে ওষুধ দিয়ে মাসিক বন্ধ রাখা হয়। পরিবারের মা-বোন বা খালার সমস্যা থাকলে আপনারও থাকতে পারে।
চিকিৎসা: ব্যথানাশক ওষুধ, হরমোনাল চিকিৎসা, পিল দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ব্যায়াম, খেলাধুলা করা ভালো। ফিটনেস বাড়াতে হবে। রেডমিট, কফি ও গমের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন। কিশোরীদের জন্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সবচেয়ে ভালো, সার্জারি না করাই উত্তম। বন্ধ্যত্বের ক্ষেত্রে যদি সিস্ট থাকে, তবে অপারেশন লাগবে। তবে অবশ্যই অপারেশনের আগে ওভারিয়ান রিজার্ভ দেখে নিতে হবে। অপারেশনের পরে সিস্ট আবারও হতে পারে, সে ক্ষেত্রে রিপিট সার্জারি না করে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শ্রেয়।
ফিচার বিজ্ঞাপন
কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবি)
Australia Visa (for Private Service Holder)
Maldives (Paradise Island-Water Vila & Hulhumale) 4D/3N
কেন সচেতনতার প্ল্যাটফর্ম: এটি এমন একটি সমস্যা, যার জন্য সবাই মিলে একটি সচেতনতার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। এই বছর একটি বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে এন্ডোমেট্রিওসিস সোসাইটি অব বাংলাদেশ সচেতনতার যাত্রা শুরু করেছে। এই পদযাত্রায় রোগী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৭৫ বার পড়া হয়েছে




