করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে অনেকেই অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায় ভুগছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কম ঘুম বা অনিদ্রা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অপর্যাপ্ত ঘুমে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যেতে পারে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, রক্তে শর্করা বাড়ে, রক্তচাপ বাড়ে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে ক্লান্তি, অবসাদ, মনোযোগহীনতা, চিন্তা ও স্মৃতিশক্তির সমস্যা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাতটি পরামর্শ অনুসরণ করলে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত হতে পারে:
এই সময় সবার রুটিনের ব্যত্যয় ঘটছে। তারপরও রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়া, আর নির্দিষ্ট সময় ওঠার অভ্যাস ধরে রাখুন।
চোখে ঘুম এলেই কেবল বিছানায় যাবেন। বিছানায় যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে উঠে পড়ুন। বই পড়ুন অথবা গান শুনুন, কিংবা পছন্দের কিছু করুন। তাই বলে স্নায়ু উদ্দীপ্ত করে এমন কিছু, যেমন করোনার সংক্রমণের সংবাদ দেখা-শোনা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি করবেন না।
শোবার ঘর ও বিছানা শুধু ঘুমানোর জন্যই ব্যবহার করতে হবে। বিছানায় ল্যাপটপে কাজ করা, মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা, গেমস খেলা, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি উচিত নয়।
বিছানায় যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে উঠে পড়ুন
বই পড়ুন অথবা গান শুনুন, কিংবা পছন্দের কিছু করুন
ঘুমের সময়ের ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে চা-কফি ইত্যাদি পান করবেন না।
দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস ত্যাগ করুন। যাঁদের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, তাঁরা দিনের বেলা ঘুমানো বাদ দিন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বেইজিং ৪ দিন ৩ রাত
ব্যাংকক-ফুকেট-ফিফি আইল্যান্ড-সাফারি ওয়ার্ল্ড
ইস্তানবুল ৪দিন ৩ রাত
এ সময় মানসিক চাপ কমাতে অতিরিক্ত করোনা মহামারিসংক্রান্ত সংবাদ, টক শো ইত্যাদি দেখবেন না। ঘুমের আগে তো নয়ই।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছুতেই ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না। বিশেষ করে যাঁদের সচরাচর ঘুমের সমস্যা হয় না, তাঁরা তো নয়ই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৪১৮ বার পড়া হয়েছে





