মধ্য মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে। এ বন্ধ অনির্দিষ্টকাল। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চালু হবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। এ মধ্যবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিমুখ না হওয়া, শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও মানসিকভাবে চাঙা রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু করেছে অনলাইন ক্লাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য অনুযায়ী এ কার্যক্রম চলবে। অনলাইন কার্যক্রমের বিষয়াদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণ্য করা হবে না। এ কার্যক্রমে থাকবে না কোন নম্বর কিংবা ফলাফল।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, মহামারির কারণে কিছু সময় হারালেও দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা যেন একাডেমিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পিছিয়ে না পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলকভাবে কাউকে মানতে হবে এমন কথা বলছে না প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘দীর্ঘসময় কেউ কাজ ছাড়া বসে থাকলে তার মানসিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়তে পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের কাজের মধ্যে দিয়ে নিতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীদের অনেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।’
গত মাসের শেষ সপ্তাহে বিভাগ ও ইনস্টিটিউট প্রধানদের ‘সীমিত সামর্থ্য’ দিয়েই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে অনুরোধ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অনুরোধর পরপরই শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে ই-মেইল ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য নেন। একইসাথে অনলাইন ক্লাসবিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ-নির্দেশনাও দিচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস শুরুও হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনলাইন ক্লাসগুলোতে লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি থাকবে শিক্ষকদের রেকর্ড করা অডিও লেকচার, রিডিং মেটেরিয়ালস, ইন্টারনেট লিংক, ভিডিও ইত্যাদি। ক্লাস টেস্ট বা এসাইনমেন্টও অনলাইনে প্রদান করা হবে। তবে এসব কার্যক্রমের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোন সম্পৃক্ততা থাকবে না। এসব নম্বরও মূল পরীক্ষার সাথে যোগ হবে না। শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে চাঙা রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Maldives (Fun Islands) 3D/2N
Dubai (City tour- Dhow cruise- Desert safari) 4D/3N
USA Visa (for Businessman)
এ বিষয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ একটা সময় হারিয়ে ফেলছি। এ সময়ে নানা নেতিবাচক কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে। সেজন্য একাডেমিক কাজের মধ্য দিয়ে তাদের মনোবল চাঙা রাখতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ ধরনের কার্যক্রম কতটুকু ফলপ্রসূ হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফলপ্রসূ হওয়ার চাইতে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জরিপ চালিয়ে দেখেছি যে আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন আছে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ এখন গ্রামে অবস্থান করায় ডাটা সংযোগের ত্রুটির কারণে তারা হয়তো লাইভ ক্লাস করতে সমর্থ হবে না। কিন্তু মেসেঞ্জার গ্রুপ, অডিও লেকচার, রিডিং মেটেরিয়ালস, ইন্টারনেট লিংক, ভিডিও এসবের মধ্য দিয়ে তারা একাডেমিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবে। তাছাড়া, এর মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা এগিয়ে নিতে পারলেও আমরা পরবর্তীতে সেশনজটের কিছুটা নাকাল হতে রক্ষা পাবো।’
ক্লাস শুরু হলে সবাই ধীরে ধীরে এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন৩৫৬ বার পড়া হয়েছে





