আরামদায়ক বিছানাতেই যে ঘুম আসবে তা না, ছিমছাম আর সুন্দর করে সাজানো ঘরও মনের শান্তির জন্য প্রয়োজন।
১. বেডরুমের আকার
ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে ঘরের সঠিক মাপ জানা সম্ভব হয় না অনেকসময়। সেক্ষেত্রে আপনার ঘরের দৈর্ঘ-প্রস্থ ফিতা দিয়ে মেপে নিন। এক্ষেত্রে দৈর্ঘ-প্রস্থের পাশাপাশি ঘরের দরজার মাপও জেনে রাখা ভালো। ঘরের জানালা, লাইট, অন্যান্য আসবাব, বাথরুম বা বারান্দার দরজা থাকলে তার অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনা করে বিছানার জায়গা নির্ধারন করুন। এমনভাবে বিছানা রাখবেন না, যেন আপনার ঘরের মধ্যে হাঁটাচলায় অসুবিধা সৃষ্টি হয়। ঘরের মধ্যে আলো-বাতাস চলাচল ও হাঁটাচলার সমস্যা সৃষ্টি করলে হাজার ইচ্ছা থাকলেও কিং বা কুইন সাইজ বেড কেনা ঠিক হবে না আপনার। তাছাড়া, বড় বিছানা রেখে ঘরে বদ্ধভাব আসলে আপনি মানসিকভাবে শান্তি পাবেন না।
ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে খুব দামি আসবাব না কিনে সহজে বদলে ফেলা যায় এমন আসবাব বাছাই করুন। এছাড়া পুরনো আসবাব বিক্রি করে দিয়ে আপনি নিজেও সেকেন্ড হ্যান্ড আসবাব কিনতে পারেন। এতে সাশ্রয়ী হবে আবার নতুন বাসার প্রয়োজন অনুযায়ী আসাবাব বাছাই করতে পারবেন।
২. ঘরের অন্য আসবাব ব্যবহারের সুবিধা
ঘরের মধ্যে দেখা যায় বিছানা ছাড়াও আলমারি, কাপবোর্ড, বুকশেলফ, র্যাক, ড্রেসিং টেবিল, কনসোল, টেবিল-চেয়ার ইত্যাদি নানা ধরনের আসবাব থাকে। এগুলো আগে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রাখুন। তারপর যেখানে বিছানা রাখতে চান, তেমন একটা দিক বাছাই করে চারদিকে চারটা বোতল বা অন্য কিছু রাখুন। আবার বিছানার আকারে মেঝেতে পেইন্টার টেপ লাগাতে পারেন। এবার ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা, আলমারি খোলা, ড্রেসিং টেবিলে কাজ করা ইত্যাদি করে দেখুন বিছানার আকারে কোন সমস্যা হয় কিনা। যে আকারের বিছানায় সবচেয়ে সহজে হাঁটাচলা করতে পারবেন, সেটি বেছে নিন আপনার ঘরের জন্য।
৩. ঘরের অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে আকারের সমন্বয়
আপনার ঘরে ইতোমধ্যে একটা আলমারি ও অন্যান্য আসবাব আছে। এখন আপনার আরও একটা আলমারি না হলেই নয়। সেক্ষেত্রে ওই আলমারি কোথায় রাখবেন সেটি বিবেচনা করে বিছানার আকার নির্ধারন করুন। ঘরভর্তি আসবাব বা হাঁটতে চলতে বাঁধা পাওয়ার থেকে তুলনামূলক ছোট বিছানা কেনা ভালো।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Manila 5D/4N
ব্যাংকক-পাতাইয়া-কোরাল আইল্যান্ড-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৫দিন ৪ রাত
Paradise island, Maldives, 4D/3N
৪. বড় বিছানা নাকি আরামদায়ক ঘর
আপনি কেমন ঘরে বাস করতে চান, সেটি নির্ভর করে একেকজনের ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও রুচির উপর। খোলামেলা পরিবেশ পছন্দ করলে আপনাকে অবশ্যই বড় খাটের মায়া ত্যাগ করতে হবে। আবার আপনি খোলামেলা ঘরও পছন্দ করেন, বড় বিছানাও পছন্দ করেন কিন্তু সেই অনুযায়ী ঘর ভাড়া করার বা কেনার সামর্থ্য আপনার নাই। সেক্ষেত্রে সমাধান মিলতে পারে নিচু বিছানায় অথবা ফ্লোর ম্যাট্রেসে। এক্ষেত্রে ঘর খোলামেলা লাগবে দেখতে। আবার হাঁটতে চলতে গুতা খাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। তাছাড়া এখন একের ভেতরে দুই ডিজাইনের আসবাবও পাওয়া যায়। সারাদিন গুঁটিয়ে রাখলেন সোফা বা ডিভান হিসেবে, রাতে খুলে দিলে বড় বিছানা হয়ে গেল, এমন আসবাবেও মিলতে পারে সমাধান।
দিনের শেষে ঘরে ফিরে আসি আরামের জন্য। এখানেই আমরা বিশ্রাম নেই, কাজ করি, সময় কাটাই। তাই ঘর সাজানোর সময় শুধু শোয়ার বিষয়টি মাথায় না রেখে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলিও বিবেচনায় রাখলে আপনার ঘরটিও হবে ছবির মত সুন্দর ও আরামদায়ক। ঘরের মাপ অনুযায়ী আসবাব রাখার জায়গা নির্ধারন করে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। সেগুলোর সাহায্যে আপনার ঘরের আসবাব এদিক সেদিক রেখে দেখতে পারেন কোন দিকে সবচেয়ে ভালো লাগবে। তারপর আসবাব কিনুন ও সাজিয়ে ফেলুন আপনার গৃহকোন।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৪৮২ বার পড়া হয়েছে