করোনাভাইরাসের প্রকোপে তিন মাসেরও বেশি সময় মানুষ চেষ্টা করছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার। ঘরবন্দি থেকেই কেটে গেছে ঈদুল ফিতর। বেড়াতে যাওয়া তো দূরের কথা, অনেকে পরিবারের কাছেও ফিরে যাননি সংক্রমণ থেকে বাঁচতে।

সময়ের পরিক্রমায় এসেছে ঈদুল আজহা। এই কোরবানির ঈদেও অনেকের আনুষ্ঠানিকতায় ভাটা পড়েছে। হাটের ভীড় এড়াতে অনলাইনে পশু কেনাবেচার সুযোগ এসেছে।

তবে শখ, সুযোগের অভাব কিংবা সাধ ও সাধ্যের ভারসাম্য রাখতে কিছু মানুষ চাইলেও পশুর হাটে যাওয়া এড়াতে পারছেন না।

প্রচণ্ড ভীড়ের এই হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না, এটাই বাস্তবতা। তাই নিজেকে রক্ষার সর্বাত্বক চেষ্টা থাকতে হবে ব্যক্তিগতভাবেই।

কীভাবে তা করবেন জানিয়েছেন রাজধানীর সিকদার মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. শিবলি নোমানি (এমপিএইচ)।

* কোরবানির হাটে আপনার সবচাইতে বড় হাতিয়ার মাস্ক। মাস্কটি ভালোমানের দামি হতে হবে এমনটা জরুরি নয়। কাপড় বা সার্জিকাল মাস্ক দুটি করে পরলে ভালো। উন্নতমানের মাস্ক যারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানেন তারা পরতে পারেন, তবে আবশ্যক নয়।

* মাস্ক যেমনই হোক, প্রধান বিষয় হল তা যাতে নাকের ওপর থেকে চোয়ালের নিচের অংশ পর্যন্ত ভালোভাবে আটকে থাকে সেটা নিশ্চিত করা। আপনি নিজ দায়িত্বে মাস্ক পরলেও অনেকেরই মাস্ক থাকবে না। তাদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

* গবাদি পশু করোনাভাইরাস সংক্রমণে শিকার হতে দেখা না গেলেও তাদের গায়ে এই ভাইরাস লেগে থাকবে না এমনটা ভাবা বোকামি হবে। তাই পশু পরীক্ষা করতে তাদের গায়ে হাত দেওয়ার সময় ‘হ্যান্ড গ্লাভস’ ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবশ্যই থাকবে, প্রয়োজনে বাড়ি থেকে সাবান পানি গুলিয়ে বোতলে করে নিয়ে যেতে পারেন হাত ধোওয়ার জন্য।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kandy- Negombo & Colombo 5D/4N

মূল্য: 27,900 Taka

Australia Visa for Lawyer

মূল্য: 20,000 Taka

* পিপিই পরে হাটে গিয়ে কোনো উপকার হবে না বরং গরমে অসু্স্থ হয়ে যেতে পারেন। তবে পা বাঁচাতে গামবুট পরতে পারেন। যত দ্রুত সম্ভব হাটের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। পরিবারের ছেলে-বুড়ো সবাই দল বেঁধে হাটে যাওয়ার সময় এখন নয়। বয়ষ্ক, যেকোনো বয়সের অসুস্থ মানুষ, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত মানুষ কাউকেই হাটে যেতে দেবেন না। শুধুমাত্র পরিবারের সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষই হাটে যাবেন।

* হাট থেকে ফিরেই প্রথম কাজ হবে গায়ের পোশাক, জুতা এবং নিজেকে জীবাণুমুক্ত করা। অনেকেই বাইরে থেকে এসে গায়ে ও পোশাকে ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছিটান যা ত্বক ও কাপড় দুটোর জন্যই ক্ষতিকর। এর সস্তা ও কার্যকর বিকল্প হল হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড।

* যেকোনো ফার্মেসি, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামের দোকানে এই উপাদান পাওয়া যায়। এক মিনিটেই করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে এটি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, কিনতে হবে ‘থ্রি পার্সেন্ট’ বা ৩ শতাংশ হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। চাইলে এতে আরও পানি মিশিয়ে পাতলা করতে পারেন। তবে কখনই ৩ শতাংশের বেশি মাত্রার দ্রবণ ব্যবহার করা যাবে না। নিজের শরীর, পোশাক, যে কোনো জড় পদার্থ এমনকি গবাদি পশুর শরীরও জীবাণুমুক্ত করতে পারবেন হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড দিয়ে।

* সামান্য থিতু হয়ে কোরবানির পশুটিকে সাবান কিংবা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হবে। পরে নিজের গায়ের পোশাক পরিষ্কার করে গোসল করতে হবে। করোনাভাইরাস মারতে সাবান ও শ্যাম্পু দুটোই কার্যকর।

* করোনাভাইরাসের ভয়ে স্থবির হয়ে যাওয়া অনেক কিছুই পুনরায় সচল হয়েছে সীমিত পরিসরে। নিজে সচেতন থাকলে এবং স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে কোরবানির হাটের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গিয়েও বিনা সংক্রমণে ফিরে আসা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে হবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



৩৬১ বার পড়া হয়েছে