লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কোনো ধরনের রক্তপাত ছাড়াই চোখের আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতিকে ল্যাসিক বলে। সাধারণত দৃষ্টিজনিত ত্রুটি, অর্থাৎ দূরের বা কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের জন্যই ল্যাসিক করা হয়ে থাকে। দৃষ্টিত্রুটির কারণে যাঁরা প্লাস বা মাইনাস চশমা ব্যবহার করেন, তাঁদের ল্যাসিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে মূলত চোখের কর্নিয়ার পুরুত্ব পরিবর্তন করে ঝাপসা দেখা বা কম দেখার সমস্যা দূর করা হয়। ফলে রোগীকে আর চশমা ব্যবহার করতে হয় না। তবে যেকোনো দৃষ্টিত্রুটির ক্ষেত্রে যাঁদের বেশি পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করতে হয়, ল্যাসিকের পর তাঁদের ভারী চশমার পরিবর্তে খুব অল্প পাওয়ারের চশমা হলেই চলে। ল্যাসিকে কোনো অ্যানেসথেশিয়া বা কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন হয় না।
ল্যাসিক যাঁদের জন্য প্রযোজ্য
সাধারণত যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং যাঁদের চশমার পাওয়ার গত এক বছর স্থিতিশীল, তাঁদেরই চিকিৎসকেরা ল্যাসিকের পরামর্শ দিয়ে থাকেন:
• মাইওপিয়া বা দূরের বস্তু কম বা ঝাপসা দেখেন, এমন রোগীদের মধ্যে যাঁদের চশমার ক্ষমতা মাইনাস ১ থেকে মাইনাস ১২, তাঁদের জন্য ল্যাসিক প্রযোজ্য।
• হাইপারমেট্রোপিয়া বা যাঁরা কাছের বস্তু কম বা ঝাপসা দেখেন, এমন রোগীদের মধ্যে যাঁদের চশমার ক্ষমতা প্লাস ১ থেকে প্লাস ৫, তাঁদের জন্য এ চিকিৎসাপদ্ধতি প্রযোজ্য।
• অ্যাস্টিগম্যাটিজম বা কর্নিয়ার সুষমতা না থাকলে কিংবা চোখের লেন্সের বক্রতার ত্রুটির কারণে কম দেখেন, এমন রোগীদের মধ্যে যাঁদের চশমার ক্ষমতা প্লাস শূন্য দশমিক ৫ থেকে প্লাস ৫ পর্যন্ত, তাঁদের জন্য ল্যাসিক প্রযোজ্য।
• কর্নিয়ার ডিসট্রফি ত্রুটি নিরাময়ে ল্যাসিক করা যেতে পারে।
ল্যাসিকের আগে করণীয়
ল্যাসিকের আগে কয়েকটি পরীক্ষা করতে হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের বর্তমান সমস্যার মাত্রা (চশমার পাওয়ার) ও কর্নিয়ার পুরুত্ব নির্ণয় করা হয়। ল্যাসিকের কর্নিয়াল টপোগ্রাফি নামের আরেকটি ভিজ্যুয়াল টেস্টও করা হয়। পরীক্ষার পর চোখকে প্রস্তুত করতে আই ড্রপের পরামর্শ দেওয়া হয়। সার্জারির আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও কালো চশমা সংগ্রহ করতে হবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Manila & Cebu 5D/4N
Manila 5D/4N
Australia Visa (for Private Service Holder)
লেখক: চক্ষু বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৮০ বার পড়া হয়েছে