পুরো নাম কালিপদ বসু। সবাই যাকে কে পি বসু নামেও চেনেন। তিনি একজন প্রখ্যাত বাঙালি গণিতশাস্ত্রবিদ ও বিজ্ঞান শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি কে পি বসু পাবলিশিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার জন্মস্থান ঝিনাইদহ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। যেখানে ইতিহাস-ঐতিহ্যের সন্ধান পাবেন।

জন্মস্থান: কে পি বসু ১৮৬৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিশংকরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মহিমাচরণ বসু। যিনি স্থানীয় হরিশংকরপুর রেজিস্ট্রি অফিসের একজন ভেন্ডার ছিলেন।

পড়াশোনা: বসু গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে লর্ড রিপন কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষ করে ১৮৯২ সালে ঢাকা কলেজে গণিত শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এখানেই আমৃত্যু কর্মরত ছিলেন।

বিবাহ: কে পি বসু নিজ গ্রামের মেঘমালা ঘোষকে বিয়ে করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত সদালাপী, অমায়িক ও অনাড়ম্বর ছিলেন।

প্রকাশনা: তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রকাশনা শিল্পের প্রতিও আকৃষ্ট ছিলেন। তাই তিনি কলকাতায় কে পি বসু পাবলিশিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

ভবন নির্মাণ: ১৯০৭ সালে তিনি নিজ গ্রামের নবগঙ্গা নদীর তীরে ১ একর জমির উপর ১৭ কক্ষ বিশিষ্ট প্রাসাদোপম এক ভবন নির্মাণ করেন। বাড়িটি এখনো বসবাসযোগ্য এবং সুদৃশ্যই বলা যায়। ঝিনাইদহ শহরে তার নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

মৈনট ঘাট প্রাইভেট ডে লং ট্যুর

মূল্য: ৯০০ টাকা জন প্রতি

USA Visa (Lawyer)

মূল্য: 5,000 Taka

মৃত্যু: কে পি বসু ১৯১৪ সালে পার্নিসাস ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃতদেহ ঝিনাইদহ পৌঁছলে সব অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যায়। শোকাহত হাজার হাজর মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নবগঙ্গা নদীর তীরে উপস্থিত হয়।

আর যা দেখবেন: এখানে আপনি চাইলে মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের মাজার, নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, মিয়ার দালান ও ঢোল সমুদ্র দীঘি দেখতে পারবেন।

যেভাবে যাবেন: ঝিনাইদহ জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাস অথবা সিএনজি যোগে কে পি বসুর বাড়ি যেতে হয়।

থাকা-খাওয়া: ঝিনাইদহ জেলা সদরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিছু ভালো মানের হোটেল রয়েছে। পাবেন ভালো ও মধ্যমানের কিছু রেস্তোরাঁও। ফলে খাবারে কোনো সমস্যা হবে না।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩৬৮ বার পড়া হয়েছে