ইঞ্জিন ব্রেক কি? খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে, বাইকের ব্রেক ও ক্লাচ না ধরে কেবল থ্রটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিন নিজ থেকে গতিকে কমিয়ে আনাকে ইঞ্জিন ব্রেক বলা হয়। ব্যাপারটা একটু সহজভাবে উপস্থাপন করা যাক, মনে করুন আপনি আপনার বাইক ২য় গিয়ারে ৪০ কি.মি গতি চালাচ্ছেন। এই সময় আপনার বাইকে কেবল থ্রটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিনের গতি কমিয়ে আনাটাই ইঞ্জিন ব্রেকিং। তবে এর সাথে সাথে ক্লাচ ছাড়াই দুচাকার ব্রেকও সমন্বিতভাবে ধরে আরো ভালো ও নিরাপদ ব্রেকিং  করা যেতে পারে।  তবে মূলত: থ্রটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিনের গতি কমিয়ে আনাটাই ইঞ্জিন ব্রেকিং।

আর আমরা যারা হাইওয়েতে রাইড করি মূলত তাদেরই এই পদ্ধতির ব্রেকটা বেশি দরকার হয়। এমনও অনেক সময় আসে যখন আপনার বাইক পুরোপুরি থামানোর দরকার হয় না। বরং হাল্কা গতি কমালেই চলে। আর সেই সময়গুলোতে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার খুবই ভালো একটি টেকনিক। কিন্তু নি:সন্দেহে এটি চর্চার ব্যাপার। কারন কোন ব্রেক স্পর্শ না করে বাইক ব্রেক করা একটু অনিয়মিত একটি অভ্যাস। আর আপনি যদি সঠিকভাবে ইঞ্জিন-ব্রেক নিজের আয়ত্তে আনতে পারেন তাহলে ইমারজেন্সি ব্রেক করার সময়ও এটি খুব ভালো সাপোর্ট দেবে।

আমরা অনেকেই বাইকের ক্লাচ ধরে বাইক ব্রেক ধরে সম্পূর্ণ থামিয়ে ফেলি, ইঞ্জিন ব্রেকে বাইকের গতি কমবে কিন্তু বাইক সম্পূর্ণ থেমে যাবে না। আশাকরি ইঞ্জিন ব্রেক কি এই সম্পর্কে আপনাদের ধারনাটা এখন কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে।

ইঞ্জিন ব্রেক কিভাবে করে?

ইঞ্জিন-ব্রেক এর মাধ্যমে আপনি আপনার বাইক সম্পূর্ণ থামাতে চান নাকি বাইকের গতি কিছুটা কমলেই চলবে সেটা অবশ্যই চট করে আপনার ঠিক করে নিতে হবে। যদি আপনার বাইকটি সম্পূর্ণ থামানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রথমে বাইকের থ্রটল সম্পূর্ণ ছেড়ে দিন। তারপর ক্লাচ না ধরে পেছনের চাকার ব্রেক ও তার পরপরই প্রয়োজনে সামনের চাকার ব্রেক ধরুন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Siem Reap Cambodia 4D/3N

মূল্য: 26,900 Taka

Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 5D/4N

মূল্য: ২১,৯০০ টাকা

Kathmandu-Pokhara 5D/4N

মূল্য: ১৪,৯০০ টাকা

অনেক সময় আমাদের জরুরী ব্রেক করার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে বাইকের থ্রটল সম্পূর্ণ ছেড়ে দিন এবং ক্লাচ না ধরেই বাইকের সামনের এবং পেছনের চাকার ব্রেক সমানভাবে ধরুন। এতে আপনি খুব অল্প জায়গার মধ্যে বাইকের গতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হবেন। এক্ষেত্রে বাইকের গতি নেমে আসলে একদম শেষের দিকে কেবল বাইকের ইঞ্জিন চালু রাখার জন্য ক্লাচ ধরুন। তবে আবারো বলতে হয় এই পুরো প্রক্রিয়াটি যত্নের সাথে অভ্যাস করে নেবার বিষয়।

আমরা অনেকেই মনে করে থাকি ইঞ্জিন-ব্রেক বাইকের ইঞ্জিনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কিন্তু আমাদের এই ধারণা অনেকাংশেই ভুল। ইঞ্জিন ব্রেক করলে বাইকের ইঞ্জিনে খুব বেশি চাপ পরে না বরং কেবল নিজে থেকেই কম্বাশ্চন প্রক্রিয়াটি শ্লথ হয়ে যায়। আর সাধারন কম্বাশ্চনে যেসব যন্ত্রাংশে যেমন চাপ পড়ে এক্ষত্রেও সেই একই চাপ পড়ে। বরং বারবার ক্লাচ চাপায় ক্লাচ সংযুক্ত ও বিযুক্ত হবার যে ফ্রিকশন তা থেকে রক্ষা পায়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৪০৯ বার পড়া হয়েছে