জায়গা জমি আমাদের প্রত্যেকের কম বেশি কিছু না কিছু আছে। এটি আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ। কিন্তু অতি সত্য একটি ব্যাপার হলো আমরা অধিকাংশ মানুষই এই জমির বিষয়ে উদাসীন ও অনেক বিষয়ে আমরা অতি অজ্ঞ। ফলে যারা একটু ধূর্ত ও অসৎ প্রকৃতির লোক তারা সহজেই মানুষকে ঠকায়। তাই নিজের জমি, জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি, ও প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত। তাই আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি তেমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সার্ভে বা জরিপ ও সেটেলমেন্ট বিষয়ক কিছু শব্দের সংজ্ঞা:
নামজারী: ক্রয়সুত্রে বা ওয়ারিশ সূত্রে বা যেকোনো বৈধভাবে জমির মালিকানা লাভ করলে সরকারের ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে পূর্বের মালিকের স্থলে বর্তমান নাম নিবন্ধন করে প্রতিস্থাপন করাকে নামজারী বলে।
এওয়াজ বদল: একাধিক ব্যক্তির মধ্য সমঝোতার মাধ্যমে কোন সমপরিমাণ জমি বা সমমূল্যের জিনিসের বদলে সমপরিমাণ জমি বা সমমূল্যের জিনিস বদল করে নেওয়া হলে তাকে এওয়াজ বদল বলে।
অছিয়তনামা: কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুর পূর্বেই তার স্থাবর সম্পত্তির বা জমির কোন অংশ বা সম্পূর্ণ অংশ অন্য কোন ব্যক্তির নামে আইনগত ভাবে দলিল করে দিয়ে যান তবে তাকে ঐ ব্যক্তির ওছিয়তনামা বলে। ওছিয়তনামাকে হিন্দুধর্মে উইল বলা হয়।
ম্যাপ: ম্যাপ হলো জমির অবিকল প্রতিচ্ছবি যা অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে তৈরি করা হয়।
চৌহদ্দি: চৌহদ্দির ইংরেজি নাম Boundary. কোন স্থাবর সম্পত্তির ভিতরে চারপাশে যা কিছু আছে (যেমন: গাছ-পালা, পুকুর, স্থাপনা, জমি-জমা ইত্যাদি) সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত।
মৌজা: একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য সরকার আলাদা আলাদা ম্যাপ তৈরি করে থাকে। গ্রাম বা শহরগুলোকে এভাবে আলাদা আলাদা করে এক একটি আলাদা অঞ্চলের আওতাভুক্ত করে প্রণীত মানচিত্রকে মৌজা বলে।
ভূমি: সকল আবাদি ও অনাবাদী জমি নদ-নদী, খাল-বিল, নালা, পুকুর, ডোবা, বাড়িঘরসহ যা ভূমির সঙ্গে স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়েছে তাকে ভূমি বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু সাগর, মহাসাগর ও উপসাগর ভূমির আওতাভুক্ত নয়।
দাগ: জমির পরিমাণ, বিবরণ, হিসাব সংরক্ষণসহ বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেশের জরিপ বিভাগ দেশের সকল জমিকে আকার ও পরিমাণ অনুসারে একটি ক্রমিক নম্বরসহ অসংখ্য খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করেছে। এই ক্রমিক নম্বরগুলোকে স্ব স্ব জমির দাগ বা দাগ নম্বর বা প্লট নম্বর বলে।
খতিয়ান: সাধারণভাবে স্বত্ব সংরক্ষণ ও রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে দেশের জরিপ-বিভাগ কর্তৃক প্রত্যেক মৌজার ভূমির মালিক বা মালিকগণের নাম, ঠিকানা, হিস্যা এবং তাদের স্বত্বাধীন দাগ নম্বরসহ ভূমির পরিমাণ, শ্রেণী এবং এর জন্য প্রদেয় খাজনা ইত্যাদি বিবরণসহ ক্রমিক নম্বর অনুসারে যে রেকর্ড তৈরি করা হয় তার প্রত্যেকটিকে খতিয়ান বলে এবং উক্ত রেকর্ডকে স্বত্বের ‘রেকর্ড অব রাইট’ (ROR) বলা হয়।
পাট্টা: প্রজার স্বত্ব ও দায়িত্ব বর্ণনা করে মালিক প্রজাকে যে দলিল দিয়ে থাকেন তাকে পাট্টা বলে।
নাম খারিজ ও জমা খারিজ: ১৬ আনা জোতের মোট জমা হতে নাম জারীকৃত ওয়ারিশ বা ক্রেতার দখলকৃত জমির জমা ১৬ আনা জমা হার অনুসারে জমা ভাগ করে দিয়ে আলাদা জমা সৃষ্টি করাকে নাম খারিজ বা জমা খারিজ বলে হয়ে থাকে।
দিয়ারা: দিয়ারা শব্দটি এসেছে দরিয়া শব্দ থেকে। চরের জমি জরিপের জন্য দিয়ারা করা হয়।
Featured Product
Australia Visa (for Govt Service Holder)
USA Visa (for Businessman)
Ho chi minh -Hanoi – Halong Cruise 5D/4N
৪৩৪ বার পড়া হয়েছে





