ভ্রমণকে আরও উৎসাহিত করতে বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ভিসাও সহজ করে দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের জন্য বেশ জনপ্রিয় এক ভ্রমণ গন্তব্য। বিমানের ভাড়া অনেকেরই নাগালে চলে আসায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পর্যটন স্থানে বেড়েছে বাংলাদেশি টুরিস্টের সংখ্যা। ভ্রমণকে আরও উৎসাহিত করতে বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ভিসাও সহজ করে দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নিই মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার কিছু টুকিটাকি তথ্য।

১/ বাংলাদেশি পাসপোর্টে এখন সহজে, অল্প সময়েই পেতে পারেন ই ভিসা মানে ইলেক্ট্রনিক ভিসা। এই ভিসার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য সাথে টাকা জমা দিতে হবে কার্ড দিয়ে।
২/ পূর্বে যে কেউ আবেদন করতে পারতেন ই ভিসার জন্য, কিন্তু এখন পরিবর্তিত নিয়মে পূর্বে মালয়েশিয়া ভিসাপ্রাপ্তরাই শুধু ই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি নিজেই বা এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তবে স্টিকার ভিসার জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড এজেন্টের নাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
৩/ স্টিকার ভিসা দিয়ে যেমন যেকোনো মালয়েশিয়ান বিমানবন্দরে ভ্রমণ করা যায় তেমনি ই ভিসা থাকলেও আপনি যে কোনো বিমানবন্দর দিয়েই প্রবেশ করতে পারবেন মালয়েশিয়া। ই ভিসা থাকলে আপনাকে প্রথমে কুয়ালালামপুরেই যেতে হবে এমনটা নয়।
৪/ ইদানীং কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ভ্রমণকারীদের নানা জেরার মুখোমুখি পড়তে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিসা থাকা সত্ত্বেও শুধু সন্দেহের বশে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় অনেককে। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি এমন বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ার কারণেই বিমান বন্দরে কর্মরত অফিসারদের এমন আচরণ। তাই ইমিগ্রেশনের সময় আপনাকে বুঝাতে হতে পারে আপনি নিছক বেড়াতেই গেছেন এবং বেড়ানো শেষে আপনি যথা সময়ে দেশেও ফিরে যাবেন। আপনার সঙ্গে থাকা ফিরে আসার টিকেটটিও সঙ্গে রাখুন।
৫/ যদি মালয়েশিয়া হয়ে অন্য কোনো দেশ ভ্রমণ করেন তাহলে ট্রানজিট ভিসা না হলেও চলবে। টুরিস্ট ভিসা দিয়েও আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন। কতিপয় নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টে ফ্রি ট্রানজিট ভিসা পাওয়া যায়।
৬/ ভিসার জন্য আবেদনের সময় কাগজপত্রে ভুল থাকলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আবেদনের সময় ব্যাংকে অন্তত ৫০,০০০ টাকা থাকা উচিত। যত বেশি টাকা থাকবে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।


৫৩১ বার পড়া হয়েছে