মাগুরার মহম্মদপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন ৩০টি পরিবার। উদ্বোধনের ১৭ দিন পার হলেও আশ্রয়ণের ঘরে ওঠেননি ১৭টি পরিবার। এই পরিবারগুলোর অধিকাংশের নিজের জমি ঘর থাকার পরও ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ২৮৭ জনের জমিও নাই, ঘরও নাই। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ৪০ জনের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
উপজেলার দীঘা ইউনিয়নে ঘর পাওয়া আবু বক্কার মন্ডল বলেন, ‘বর্তমানের নতুন ঘরের কী অবস্থা, আমি জানিনে। বাপ-দাদা সূত্রে আউনাড়া গ্রামে জমি পাইছিলাম। এখানে আমার বাড়ি আছে। এখানেই থাকি। একটা ছেলে আছে, সে বাড়ি থাকে না। এখানে (আগের বাড়িতে) আমাগেরই থাকতে হবেনে। তবে দুই জাইগায় এখন থাকতে পারব।’
সরেজমিনে নতুন ঘর পাওয়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বরাদ্দ পাওয়া অনেকে ঘরে তালা মেরে রেখে আগের ঠিকানায় থাকেন। অনেকের ঘরের দরজা-জানালা খোলা রয়েছে। ভেতরে কোনো মালামাল দেখা যায়নি। সেসব পরিবার প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীন তারা উপহার পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠেছেন। কিন্তু পানি ও বিদ্যুতের সমস্যায় কষ্ট পেতে হচ্ছে তাদের।
নতুন ঘর পাওয়া একটি পরিবারের সদস্য ডালিম শেখ বলেন, ‘আমাদের বাড়ি আছে বিলখানিদাহ। আমরা এইখানেই থাকবানি। উত্তরাধিকার সূত্রে আমার বাবা জমি পায়। তবে জমির পরিমাণ কম। সে রাতে বাড়িতে থাকে আর দিনে দেখাশোনার জন্য নতুন ঘরের ওইখানে যায়।’
নতুন ঘর পাওয়া আরও পাঁচ-সাতটি পরিবার তাদের জমি ও ঘর থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ঘরে ওঠা এক নারী জোসনা বেগম বলেন, ‘আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। তাই পানি-বিদ্যুতির সমস্যা থাকতিও আমি সব নিয়ে আইছি। আমার মতো তো সবার অবস্থা না। আমার এখানে সংসার করতে হবে। আমি ছাড়া এখানে (দীঘা ইউনিয়নে) কেউ ওঠে নাই। তাগার ঘরে ওঠার আগ্রহ নাই। তারা দেখাশোনার জন্য আমারে ঘরের চাবি দিতি চায়। তাগার বাড়িঘর সংসার সব আছে। এর থেকে সেখানে ভালো অবস্থা।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
বেইজিং ও কুনমিং ৭ দিন ৬ রাত
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
Kandy- Negombo & Colombo 5D/4N
হাফিজার মোল্যা বলেন, ‘শিরিনা নামের এক মেয়ে জমি নাই ঘর নাই। বাপের বাড়ি পড়ে থাকে। তারা ঘর পায় না অথচ যাদের অবস্থা ভালো তারা ঘর পাইছে।’ তবে কয়েকজন পানি ও বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হলে ঘরে উঠবেন বলে জানিয়েছেন।
বাবুখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার আব্দুল কাদের জানান, বাবুখালীর ১০টি ঘরের কেউই এখনো ঘরে ওঠেননি। পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা ঠিক হলে তারা আসবেন বলে জানিয়েছেন।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘জমিও নাই ঘরও নাই’-এর তালিকা আগের ইউএনও যাচাই-বাছাই করেছেন। আমরা এর মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন থেকে যারা ঘর পেতে আগ্রহী, তাদের ঘর দিয়েছি। তবে তাদের পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা খুব শিগগিরই সমাধান করা হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন২৩১ বার পড়া হয়েছে