রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরে জান্নাত একাডেমী হাইস্কুল কেন্দ্রে রোববার সাড়ে ৩০০ ব্যক্তির জন্য করোনার টিকা আনা হয়েছিল। টিকাদান কার্যক্রম শুরুর আড়াই ঘণ্টার মাথায় টিকা শেষ হয়ে যায়। ফলে কেন্দ্রটিতে আসা অনেক ব্যক্তি টিকা না পেয়ে ফিরে যান। সময়ের মধ্যে এসেও টিকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য মিরপুর ১১ নম্বরের জান্নাত একাডেমী হাইস্কুলে টিকাকেন্দ্র বসানো হয়েছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই কেন্দ্রটিতে শত শত মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। তাঁরা সারি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত যাঁরা তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে পেরেছেন, তাঁরাই টিকা নিতে পেরেছেন।
দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে টিকা নিতে কয়েক শ মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ঘোষণা দেওয়া হয়, সব টিকা শেষ হয়ে গেছে। সোমবার আবার টিকা দেওয়া হবে।
গলিপথলাগোয়া স্কুলের বাইরে টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা অপেক্ষা করছিলেন। টিকা শেষ হয়ে গেছে, এই খবর শুনে তাঁরা সবাই হুমড়ি খেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, সকাল থেকে যাঁরা টিকা দিচ্ছিলেন, তাঁরা তাঁদের মালামাল গুছিয়ে নিচ্ছেন।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছে সূর্যের হাসি ক্লিনিক। ক্লিনিকটির ছয় স্বাস্থ্যকর্মী সকাল থেকেই আগত লোকজনকে টিকা দেন। তাঁদের মধ্যে নাজমুন্নাহার বলেন, টিকার তুলনায় মানুষের চাপ অনেক বেশি। কেন্দ্রে আরও বেশি টিকা প্রয়োজন।
নাজমুন্নাহার আরও বলেন, সমন্বিত টিকা কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন শনিবারে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা টিকা দিতে পেরেছেন তাঁরা। গতকাল মানুষজনের চাপ অনেক বেশি ছিলো। তাঁরা সকাল ৯টায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছেন। বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে টিকা শেষ হয়ে যায়।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ব্রুনাই ভিসা
Kathmandu-Pokhara-Nagarkot-Bhoktopur 5D/4N
মালয়শিয়া-সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া ৯দিন ৮ রাত
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, টিকা নেওয়ার পর এই কেন্দ্রে আগত ব্যক্তিদের জন্য বিশ্রামের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। টিকা দেওয়ার পরপরই লোকজন বেরিয়ে গেছেন।
আবদুস সালাম নামের এক ব্যক্তি সকাল আটটায় কেন্দ্রটিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাননি বলে জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা দলীয় কর্মী বেছে বেছে আগে টিকা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা পাননি।
দুপুর ১২টার দিকে টিকা নিতে এসে ফিরে যান পঞ্চাশোর্ধ্ব মোসাম্মৎ মমতাজ। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে আসার আগে আরেকটি কেন্দ্রে টিকা নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেও টিকা নিতে পারেননি। এই কেন্দ্রে আসার পর বলা হয়েছে, টিকা শেষ। আজ আর দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রউফ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে পরিমাণ টিকা আনা হয়েছে, তা অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের চাপ অনেক বেশি। টিকার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৫৮ বার পড়া হয়েছে