গ্রাম মানেই পাখিদের কলরব। গ্রাম মানেই সবুজের সমারোহ। আর এই সবুজ বন-বনানীর ছায়া ঢাকা পরিবেশে গড়ে উঠেছে ‘নিঝুম পার্ক’। শহরের জঞ্জাল ছেড়ে ঈদের ছুটিতে একদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এ পার্ক থেকে। গ্রামীণ আবহে এতে আধুনিকতার ছোঁয়াও পাবেন।

অবস্থান: নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের জল্লী গ্রামে অবস্থিত পার্কটি। ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে পার্কটি। ওই গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক লতিফ আহমেদ খান পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন।

বৈশিষ্ট্য: দেশের মানচিত্রের আকৃতিতে পার্কের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর চারপাশে রয়েছে স্বচ্ছ পানির লেক। লেকটিকে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নামে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রবেশপথে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু। ভেতরে ঢুকতেই বামপাশে বিশাল আকৃতির হাতির ভাস্কর্য। ডানপাশে রয়েছে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা। রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছ, হরিণ, ঘোড়া, হনুমান, ময়ূর, বানরসহ নানা রকম প্রাণি। পশু-পাখি ও রূপকথার পরীর ভাস্কর্য দেখতে পারবেন এখানে। শিশুদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে দোলনাসহ বিভিন্ন রাইড। এছাড়া আইসক্রিম, ফুচকা, চটপটি, ঝাল-মুড়িসহ মুখরোচক খাবার পাবেন।

প্রবেশ: পার্কটিতে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যায়। এতে জনপ্রতি প্রবেশমূল্য রাখা হয় ৫০ টাকা।

কর্তৃপক্ষ যা বলেন: পার্কটির দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমায়। মূলত গ্রামীণ পরিবেশে বিনোদনের নতুন মাত্রা দিতে গড়ে তোলা হয়েছে পার্কটি। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মনে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় পার্কটি ঘিরে।

যেভাবে যাবেন: মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে নেত্রকোণাগামী বাস ছাড়ে। নামতে হবে কেন্দুয়া বাসস্ট্যান্ডে। ভাড়া জনপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা। সেখান থেকে সিএনজিতে যেতে হবে রামপুর বাজার। জনপ্রতি ভাড়া ২৫-৩০ টাকা। রামপুর বাজার থেকে সিএনজি বা রিকশায় জল্লী গ্রামে যাবেন। ভাড়া জনপ্রতি ২০-২৫ টাকা।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৫৪৯ বার পড়া হয়েছে