আমাদের ঘরে তো এটা-সেটা অনেক জিনিসই পড়ে থাকে, যেগুলো হয়তো কখনো কোনো কাজেই লাগে না। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ঘরে থাকা এসব জিনিসপত্র দিয়েই ঘরটিকে সাজিয়ে তুলতে পারেন নান্দনিকভাবে। এমনই কিছু উপায় বলে দিলেন অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু।

অনেকের বাড়িতেই পূর্বপুরুষের ব্যবহৃত লোহার ট্রাংক বা কাঠের সিন্দুক থাকে, যেটা হয়তো খাটের তলায় বা স্টোররুমে পড়ে থাকে। সেটিকেই ঝেড়েমুছে প্রয়োজনে রং করে বানিয়ে নিন সেন্টার অথবা ডিসপ্লে টেবিল। ট্রাংকের ওপরে এক টুকরো কাচ বসিয়ে রাখুন ছোট ছোট কিছু শোপিস অথবা বিছিয়ে দিন একটি রঙিন রানার।

আপনার নানি-দাদির ব্যবহৃত পিতলের বা রুপার পানের বাটাটি হয়তো তোলা আছে আলমারিতে, সেটিকেই সাজিয়ে রাখুন সেন্টার টেবিলে, পাশেই রাখুন ছোট্ট একটি সতেজ গাছ। শোকেসে হয়তো পেয়ে যাবেন অব্যবহৃত কোনো সিরামিকের বোল। সেটিতে পানি দিয়ে কিছু ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে সাজিয়ে রাখুন ডাইনিং টেবিলে। প্রতিটি বাড়িতেই কিছু জ্যাম-জেলি, কফি, সসের কাচের বোতল জমে থাকে। এমন কয়েকটি বিভিন্ন আকারের বোতল ধুয়েমুছে পানি ভরে একটি কাচের প্লেটে রেখে পানি দিয়ে কিছু লতাপাতা-ফুল সাজিয়ে দিন বোতলে। নিচে ছড়িয়ে রাখুন কিছু কুঁচো পাথর। এবার পুরো অ্যারেঞ্জমেন্টটি রেখে দিন ডাইনিং টেবিলের মাঝখানে অথবা যেকোনো টেবিলের ওপরে। দেখবেন গতানুগতিক টেবিলটিই অনবদ্য হয়ে উঠেছে।

আপনার সংগ্রহে যদি মা, দাদি-নানির ব্যবহৃত কাতান, সিল্ক বা জামদানি শাড়ি থাকে, সেগুলো থেকে বানিয়ে নিন প্লেসম্যাট, রানার, কুশন কভার। শাড়ির পাড়গুলো দিয়ে বানাতে পারেন পর্দার পেলম্যাট। দেখবেন শাড়িগুলো ভিন্ন মাত্রা পাবে। বাড়িতে যদি মাদুর বা পুরোনো শীতলপাটি থাকে, সেটা কেটেও বানাতে পারেন প্লেসম্যাট বা রানার, সঙ্গে একটু পাড় বসিয়ে দিলেই হলো।

প্রতিটি বাড়িতেই কিছু অ্যান্টিক পিস থাকে, যেমন চিনামাটির পাত্র, পানের ডিব্বা, পানির কুঁজো, বয়াম, পিতলের কলসি বা ফুলদানি, সুপুরি কাটার সরতা, এমনই আরও অনেক কিছু। জায়গা বুঝে এই অ্যান্টিক পিসগুলো রাখতে পারেন টেবিল বা লো-হাইট ক্যাবিনেটের ওপর।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Maldives (Paradise Island) 3D/2N

মূল্য: ৪২,৯০০ টাকা

Siliguri – Darjeeling – Gangtok (Sikkim) 8D/7N

মূল্য: ৩০,৯০০ টাকা

Manila & Angeles City 5D/4N

মূল্য: 55,900 Taka

ঘরে উপহার পাওয়া মাটির চিনামাটির কাচের বিভিন্ন আকৃতির বেশ কিছু মগ জমে থাকে, সেগুলোর কোনোটায় গাছ, কোনোটায় চামচ বা বাচ্চাদের রংপেনসিল সাজিয়ে রাখুন।

তেলের ডিব্বাজাতীয় প্লাস্টিকের জারগুলোও কাজে লাগানো যায়, জারের মাঝবরাবর কেটে নিয়ে রং করে বানিয়ে নিন প্ল্যান্ট পট, এবার এগুলো রেখে দিন বারান্দায় বা ঘরের এখানে-সেখানে।

এমনই হাজারটা উপাদান পাবেন আপনার চারপাশে, সেগুলোকেই রি-অ্যারেঞ্জ করে নিন একটু বুদ্ধি খাটিয়ে। দেখবেন আপনার চিরচেনা পুরোনো ঘরটাই সেজে উঠবে নতুন সাজে। এর জন্য কিন্তু আপনার বাড়তি পয়সা বা সময়ের অপচয়ের দরকার হবে না।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



১৫৭ বার পড়া হয়েছে