‘দূরপাল্লার বাস না চলায় আমাদের প্রায় না খেয়ে থাকতে হয়েছে। তাই, ঈদের সময় আনন্দ ছিল না। আজ সরকার বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর মনে হচ্ছে, আমাদের মাঝে ঈদ চলে আসছে। আমরা পরিবহন শ্রমিকরা অনেক খুশি। বাসের চাকা ঘোরা মানেই হচ্ছে, আমাদের ঈদ।’
২৪ মে থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতির খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাইজিংবিডির এ প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন পরিবহন শ্রমিক মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। ২৩ মে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব ধরনের আন্তঃজেলা গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে, অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
এর আগে একই জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলেছে। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচলের অনুমতির খবর শোনার পর থেকেই পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খুশির জোয়ার বইছে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে দূরপাল্লার বাস। ফলে কয়েক লাখ পরিবহন শ্রমিক অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন। তাই, বাস চলার কথা শুনে তাদের মনে যেন ঈদের খুশি লেগেছে।
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় দ্রুতি পরিবহনের শ্রমিক মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে বাস বন্ধ ছিল। এই কয়দিন আমরা যে কীভাবে দিন যাপন করেছি, সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। কবে ঠিকভাবে তিনবেলা ভাত খেয়েছি, সেটা মনে করতে পারছি না। ধার-দেনা করে খেতে হয়েছে আমাদের। খুব অসুবিধার মধ্যে দিয়ে গেছে এ কয়দিন। আগামীকাল থেকে বাস চলবে, এ খবর পেয়ে আমরা যেন জীবন ফিরে পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ, অনেক দেরিতে হলেও আমাদের দাবি শুনেছে তারা। আমরা চাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চলুক। বাসের চাকা ঘুলে আমরা তিন বেলা খেতে পারি। আমরা এবার যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গাড়ি চালাবো।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
Kathmandu-Nagarkot 4D/3N
Vietnam & Cambodia 9D/8N
Cairo & Luxor 5D/4N
শ্যামলী পরিবহনের শ্রমিক আক্কাস হোসেন বলেন, ‘আমরা বাসের ছোট-খাটো শ্রমিক। বাসের ট্রিপ হলে আমরা টাকা পাই। আমাদের মাসিক বেতন নেই। প্রতি ট্রিপে ৮০০ টাকার মতো পাই। কিন্তু বাস না চলায় গত প্রায় দেড় মাস কোনো ইনকাম নেই। ঈদের সময় বাড়ি যেতে পারিনি। ঈদে আমাদের আনন্দ ছিল না। আজ যখন খবর পেলাম, বাস চলবে; তখন থেকেই মনে হচ্ছে, আমাদের ঈদ কালকে। আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সম্পাদক ও ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দীন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আজ সরকার আন্তঃজেলার গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতদিন আমরা নানা সমস্যার মধ্যে ছিলাম। সরকার পরিবহন চালুর অনুমতি দেওয়ায় আমরা খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ার কারণে সরকার এতদিন দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছিল সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করেই। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছিল। তাই, এমন সময় এ সংবাদ পেয়ে আমরা খুব খুশি। আগামীকাল (২৪ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলার বাস চলবে। পরিবহন শ্রমিকনেতা, পরিবহন মালিক ও বিআরটিএর কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি দেখভাল করবেন। বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক থাকবে। কোনো যাত্রীকে মাস্ক ছাড়া বাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।‘
Source: risingbd
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন১৬৯ বার পড়া হয়েছে