বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এক সেতু। দেখতে ছাতার মতো। এতো উঁচু এ সেতু দিয়েই কিছুদিনের মধ্যে চলাচল করবে ট্রেন। অনেকটা রোলার কোস্টারে ওঠার মতো অনুভূতি পাবে ট্রেনের যাত্রীরা। সব মিলিয়ে ট্রেনটি নিয়ে পর্যটকদের নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে চলছে খুব শিগগিরই।

চেনাব ব্রিজ। জম্মু ও কাশ্মীরের রেসি জেলার চেনাব নদীর উপর নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ এ সেতু। অবকাঠামোগত দিক দিয়ে এ সেতুটি নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর মনে। ৪৭৬ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি মূলত একটি রেলসেতু। যদিও এখনো সেতুটি চালু করা হয়নি। তবে সেখানকার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল জানিয়েছেন, এ মাসের মধ্যেই রেলসেতুটি চালু করা হবে।

স্টিলের খিলান দিয়ে তৈরি এ রেল সেতু দেখতে ঠিক ছাতার মতো। এরকম আকৃতিকর সেতু বিশ্বে হয়তো একটিও নেই। ৩৬৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত এ চেনাব ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরুর আগ থেকেই তা আলোচনায় ছিল। কারণ এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে সেতু।

জানা গেছে, উদমপুর-শ্রীনগর-বারমুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের (ইউএসবিআরএল) আওতায় চেনাব নদীর উপর এ রেলপথটি নির্মাণ করছে ভারতীয় রেলপথ। বিশ্বের সর্বোচ্চ এ সেতু সম্পর্কিত কিছু চমকপ্রদ তথ্য জেনে নিন-

>> নদীর উপরে ৩৬৯ মিটার উচ্চতায় চেনাব ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে। এর উচ্চতা আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩৫ মিটার উঁচু।

>> চেনাব সেতুর দৈর্ঘ্য ১.৩১৫ কিলোমিটার এবং উভয় প্রান্তেই স্টেশন থাকবে।

>> যেহেতু এই ব্রিজটি ছাতা আকৃতির, তাই ঝড়ের সময় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে এ সমস্যা মোকাবেলায় বায়ু টানেল পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, ২৬৬ কিমিপিএফ গতিবেগ বাতাসও সহ্য করতে পারবে সেতুটি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

তুরস্ক ভিসা (চাকুরীজীবী)

মূল্য: ১৫,০০০ টাকা

>> পুরো সেতুটি ইস্পাতের খিলান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এর স্থিতিশীলতার জন্য।

>> একটি চমকপ্রদ ইঞ্জিনিয়ারিং নকশা এটি। যদিও সেতুটি সমাপ্ত করতে প্রাকৃতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে অনেকটা সময় লেগেছে।

>> ভূমিকম্পপ্রবণ চতুর্থ অঞ্চলে নির্মিত এ সেতুটি সেদিক দিয়েও পরীক্ষায় উন্নীত হয়েছে। সেতুটি সিজমিক জোন ভি পর্যন্ত ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে।

>> প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) থেকে অনুমতি পেয়েছে সেতুটি। এ রেলসেতুটি ‘ব্লাস্ট-প্রুফ’ হিসাবে নকশাকৃত হয়েছে।

>> ধারণা করা হয়েছে, এ ব্রিজটির আয়ু ১২০ বছর হবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৮৮ বার পড়া হয়েছে