অবশেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাচ্ছে। এজন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এ সংশোধন করে ‘নির্বাচন কমিশন’-এর স্থলে ‘সরকার’ শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির অনুলিপি নির্বাচন কমিশন সচিবকেও দেওয়া হয়েছে। এই চিঠির পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক চিঠিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন কর্মকর্তারা। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বনির্ধারিত কমিশন সভায় বিষয়টি আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। এখনো পর্যালোচনা করা হয়নি। পর্যালোচনা করে সাংবাদিকদের জানানো হবে। তবে কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-১০ এ কে এম ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের উদাহরণের আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ঐ দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিবেচিত। এজন্য এ সংক্রান্ত দায়িত্ব সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার লক্ষ্যে ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং ডিফরেন্ট মিনিস্ট্রিস অ্যান্ড ডিভিশনস’ এ সুরক্ষা বিভাগের দায়িত্বসমূহের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এ ‘নির্বাচন কমিশন’ এর পরিবর্তে ‘সরকার’ শব্দ অন্তর্ভুক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
বিদ্যমান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষমতা ও এক্তিয়ার ইসিকে দেওয়া হয়েছে। ঐ আইনের বলে নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বা লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আসছে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা তথ্য-উপাত্ত সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের কাজও ইসির অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করে আসছেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ব্রুনাই ভিসা
ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া ও আন্টালিয়া ৮দিন ৭রাত
Water Lodge
গত বছর রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমের দায়িত্ব চেয়ে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাবনায় বলা হয়, আমাদের নাগরিক নিরাপত্তা, চোরাচালন প্রতিরোধসহ অন্যান্য বিষয়ের জন্য এটি তাদের দায়িত্ব দেওয়া দরকার। বাস্তবতার ভিত্তিতে এটির গ্রহণযোগ্যতাসহ সামগ্রিক বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মতামত চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পরে মতামত তৈরির জন্য অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ) সোলতান আহ্?মদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি গঠনের অফিস আদেশের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছিলো, ‘নির্বাচন কমিশনের বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্থানান্তরের চ্যালেঞ্জসমূহ নির্ণয় করা এবং মোকাবিলার কৌশল সুপারিশ করা, এরূপ স্থানান্তরে কী কী আইন, বিধি ও অবকাঠামো পরিবর্তন করা প্রয়োজন তা নিরূপণ করা এবং এ রূপান্তরে ফলপ্রসূ ফলাফল আসবে কি না তা মূল্যায়ন করা।’
একাধিক সভা করে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত কমিটি এনআইডির কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার প্রস্তাবনা নাকচ করে নাগরিকদের তথ্যভান্ডার সংরক্ষণ সংক্রান্ত পৃথক একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা গঠনের মতামত প্রদান করে। একই সঙ্গে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটির দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসকে (সিআরভিএস) দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
Source: Ittefaq
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২০২ বার পড়া হয়েছে