রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপনের ৮ বছরেও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা চালু হয়নি। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে ওই এলাকার ৬ লক্ষাধিক বাসিন্দা।
হাসপাতালটির বহির্বিভাগেও রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব, কর্মরতদের রোগী সেবা দিতে অনীহা ছাড়াও কর্মকর্তা কর্মাচারীদের দূর্বব্যবহারের শিকার হন সেবা গ্রহীতারা। ফলে মানুষ হাসপাতালটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ৬ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল ও চিকিৎসক ডরমেটরী নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ডাক্তার, নার্স, বিছানা, ভবন, অ্যাম্বুলেন্স ও অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতিসহ চিকিৎসার সকল সরঞ্জাম সরবরাহ করা হলেও শুধু আন্তঃবিভাগ খোলার অনুমোদন না পাওয়ায় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালটিতে ৮ জন ডাক্তার, ৮ নার্সসহ ৪১জন কর্মী কর্মরত রয়েছেন। তারপরও আউটডোর ও জরুরি বিভাগে নিয়মিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা।
তাছাড়া জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার নির্দেশ থাকলেও দুপুর ১২টার পরে কোনো ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকে না। ফলে সেবা প্রত্যাশী মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে সেবা না থাকায় রোগীরা অগত্যায় ৮ কিলোমিটার দূরের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হয়। এতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। বেড়িবাঁধ রাস্তা দিয়ে ওই হাসপাতালে যেতে অন্তত ২/৩ঘন্টা সময় লেগে যায়। এ কারণে দুর্ঘটনাকবলিত ও মুমূর্ষু রোগীরা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বলে জানান স্থানীয়রা। সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন প্রসূতী নারী ও শিশুরা।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Siliguri – Darjeeling – Gangtok (Sikkim) 8D/7N
Australia Visa (for Private Service Holder)
Toyota Allion 2014 G Package
গত মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, শাহিনা বেগম নামে একজন প্রসূতি রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। কর্তব্যরত ডাক্তার না থাকায় একজন নার্স ওই প্রসূতি মাকে অন্য হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেন। এছাড়া অ্ন্য রোগীদের ক্ষেত্রেও দায়সারা পরামর্শ দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কামরাঙ্গীচরের এক বাসিন্দা যুগান্তরকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আমার বোনের পেটে প্রচন্ড ব্যাথা হলে আমি তাকে কামরাঙ্গীরচর হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু হাসপতোলের জরুরি বিভাগে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোনো চিকিৎসকের দেখা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। ওই সময় রাস্তায় গাড়িও পাওয়া যাচ্ছিল না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ডিএসসিসি ৫৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় কামরাঙ্গীরচরবাসীকে চিকিৎসা সেবা দিতে একমাত্র হাসপাতালটি স্থাপন করা হলেও জনগনের কোন কাজে আসছেনা। চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় মানুষ। এতে জনগনের সামনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অবিলম্বে হাসপাতালটিতে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা কার্যক্রম চালুর অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মইনুল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, হাসপাতালটিতে চিকিৎসার সকল সরঞ্জাম সরবরাহ করা হলেও শুধু আন্তঃবিভাগ খোলার অনুমোদন না পাওয়ায় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। এছাড়া চিকিৎসা সেবা নিয়ে কারো কেউ গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন২৬৫ বার পড়া হয়েছে





