মার্চে সাধারণ ছুটির শুরুর দিকে ঢাকার যে চিত্র ছিল, এখন তার পুরোটাই উল্টো। কোনো সড়কই আর সুনসান নেই। যানবাহন চলছে নির্বিঘ্নে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল ও সমাগম বেড়েছে। সব ধরনের দোকানপাট খুলেছে। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় সুরক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে ঢাকায় এখন সবকিছুই শিথিল। অথচ রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিসিআর) ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার পর্যন্ত ঢাকা শহরে মোট করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন ৮ হাজার ৯২৩ জন, যা ওই দিন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৫৭ শতাংশ।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার মিরপুর থেকে শুরু করে কালশী হয়ে বনানী, গুলশান ১ ও ২ নম্বর, তেঁজগাও শিল্প এলাকা, মগবাজার, বেইলি রোড, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, কমলাপুর, মতিঝিল, শাহবাগ, হাতিরপুল, পান্থপথ, ধানমন্ডি, আগারগাঁও, তালতলা, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকা ঘুরে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার শিথিলতার চিত্র দেখা যায়।
মোটরসাইকেলে এসব এলাকা ঘুরতে গিয়ে প্রায় প্রতিটি মোড়ে দাঁড়াতে হয়েছে। কোথাও কোথাও যানবাহনের চাপ এত বেশি ছিল যে ট্রাফিক পুলিশকে সাধারণ সময়ের মতোই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
ঢাকায় এখন শুধু বাস ও লেগুনা চলছে না, বাকি সবই চলছে। গলির পাশাপাশি প্রধান সড়কে নেমেছে বিপুলসংখ্যক ব্যাটারিচালিত রিকশা।
সিএনজিচালিত বৈধ-অবৈধ অটোরিকশা অহরহ চলাচল করছে। ব্যক্তিগত গাড়ি প্রচুর। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়কে। অ্যাম্বুলেন্সেও এখন যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
চলাচল একটু বেশি শিথিল হয়ে পড়ে ১০ মে থেকে, যেদিন পবিত্র ঈদুল ফিতরের কেনাকাটার সুযোগ দিতে সীমিতভাবে দোকানপাট খোলার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রথম দুই দিন মানুষের চলাচল ততটা বেশি ছিল না, যেটা দেখা গেছে গতকাল। সিএনজি অটোরিকশাচালক আবুল কালামও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘এখন তো সবাই চলাচল করতে পারছে। কেউ তো আগের মতো বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চায় না।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
সিঙ্গাপুর ভিসা (বিজনেসম্যান)
পানাম সিটি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
Australia Visa (for Govt Service Holder)
বেসরকারি অফিস খুলেছে
করোনা ঠেকাতে দেশে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হয়। এক মাস মোটামুটি সবকিছু বন্ধ ছিল। ২৬ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করে। ৫ মে থেকে অন্যান্য কারখানাও খুলে যায়। সঙ্গে খুলতে শুরু করে ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়।
মানুষ বাইরে, নির্বিঘ্নে চলে যানবাহন, বেসরকারি অফিস ও সব ধরনের দোকান খোলা, ফুটপাতে হকার। ঢাকার রূপ প্রায় স্বাভাবিক।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম-আলো
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৭১ বার পড়া হয়েছে





